কাঠমান্ডু (নেপাল), (এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪. কম ) : সাফ ওমেন চ্যাম্পিয়নশিপের সেমি-ফাইনালে ভুটানের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ। কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া একটায় শুরু হবে ম্যাচটি।
এই নিয়ে সাফে বিগত ৫টি আসরের মধ্যে ৪টিতেই সেমিফাইনালে খেলছে বাংলাদেশ। শুধুমাত্র ২০১২ সালের আসরে সেমিতে খেলতে পারেনি সাবিনারা। অবশিষ্ট ২০১০, ২০১৪, ২০১৬ এবং সর্বশেষ ২০১৯ আসরের সেমি-ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। তন্মধ্যে ২০১৬ সালের আসরে ফাইনালে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ভারতের কাছে হেরে শিরোপা জয় করতে পারেনি তারা। অপরদিকে ভুটান প্রথমবারের মতো সেমি-ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। বি গ্রুপের শ্রীলংকার বিপক্ষে জয়ী হয়ে শেষ চারে ওঠে দলটি।
তবে ভুটনাকে হাল্কা ভাবে নিতে চায়না ফর্মের তুঙ্গে থাকা বাংলাদেশ। আজ আর্মড পুলিশ ফোর্স মাঠে অনুশীলন শেষে অধিনায়ক সাবিনা বলেন,‘ ভুটানের গত দুই ম্যাচ যদি দেখেন, তাহলে দেখবেন নেপালের বিপক্ষে প্রতিরোধের চেষ্টা করেছে। শ্রীলংকার বিপক্ষে ভালো ব্যবধানে জিতেছে। শেষ সাফেও কিন্তু ওদেরকে গোল দিতে আমাদের বেশ কষ্ট করতে হয়েছে। সব মিলিয়ে আমার মনে হয়, ভুটান আগের তুলনায় এখন অনেক ভালো দল। এখন দেখা যাক। আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।
সব সময়ই প্রতিটি ম্যাচে আমি আমার অভিজ্ঞতাটা কাজে লাগানোর চেস্টা করেছি। আমার লক্ষ্য থাকবে আগামী ম্যাচগুলোতেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার। ’
তিনি বলেন,‘বিদেশি কোচের অধীনে ভুটান ভালো করছে, আমরা এটা প্রশংসা করি।তবে কোনো ম্যাচকে চাপ হিসাবে নিচ্ছি না। কিন্তু আমরা প্রতিপক্ষকে শ্রদ্ধা করছি। যেহেতু তারা ভালো করছে, সেহেতু তারা সমীহ পাবার যোগ্য। আমরা আমাদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলে যাব, ম্যাচ বাই ম্যাচ আমাদের যে লক্ষ্য, সেটা মাথায় রেখেই মাঠে নামব।’
ভুটানের অধিধনায়ক পেনা চোডেন বলেন,‘ বিগত তিন মাস ধরে আমরা অনুশীলনে আছি। নেপালে আসার পরও আমাদের অনুশীলন অব্যাহত ছিল। শ্রীলংকার বিপক্ষে জয়ের মাধ্যমে আমরা ইতিহাস গড়েছি। সাফে এটি প্রথম জয়। আমরা এতে দারুন খুশি। এর মাধ্য্যমে আমাদের এনার্জি আরো বেড়েছে।’
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে সেমিফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছে ভুটান, তবে অধিনায়কের ভাষ্য,‘ সেমিফাইনালে প্রথম হলেও ২০১৯ সালে আমরা গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছি। ওই ম্যাচে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা ২-০ গোলে হেরে গেছি।
বাংলাদেশ বেশ শক্তিশালী একটি দল। তারা বেশ দ্রুতগতিতে খেলে। পাসিংয়েও দক্ষ। তাদের দলগত রসায়ন বেশ ভালো। আমাদের সঙ্গে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তবে আশা করছি এটি একপেশে হবে না। আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের দারুন কৌশল রয়েছে। তবে আমরা নিজেদের দলের প্রতি মনোযোগি। কিছুটা ইনজুরিতো দলের মধ্যে আছেই। কয়েকজন খেলোয়াড় হয়তো শতভাগ ফিট নয়। তবে দলের মধ্যে কোন কার্ড সমস্যা নেই।’
এক প্রশ্নের জবাবে ভুটান অধিনায়ক বলেন,‘ জয়ী হতে পারলে আমরা অনুপ্রানীত হব। আশা করি কাল একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপুর্ন ম্যাচ হবে। দলের প্রায় সব খেলোয়াড়ই একাডেমী গ্রাজুয়েট। দুইএকজন ছাড়া বাকী সব খেলোয়াড়রা প্রায় ৭ বছর ধরে একত্রে রয়েছি।